ঢাকায় জমজমাট পশুর হাট, দামে অসন্তুষ্ট ক্রেতা

বিক্রেতাদের মধ্যে দামের পার্থক্য হচ্ছে ৩০-৫০ হাজার। প্রতিটি গরুর দাম পড়ছে এক থেকে দেড় লাখ।

অনলাইনে পশু কেনাবেচায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা: পশুর হাটে দালাল, প্রতারক ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে আটক করেছে র্যাব। বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল-মঈন বলেছেন, ইদানীং অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে। অনলাইনে কোরবানির পশু কেনাবেচায় প্রতারণা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। র্যাবের সাইবার মনিটরিং টিম এই বিষয়ে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে।

সোমবার গাবতলী গাবতলী পশুর হাট পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অনলাইনে পশু কেনার আগে ক্রেতাকে যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। যদি কোনো ক্রেতা অনলাইনে দেখা পশুটি বাস্তবে না পান তাহলে র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। হাসিলের নামে বাড়তি টাকা নেওয়া হলেও সংশ্লিষ্ট হাট ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন কোরবানির পশুর হাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রমসহ অন্য কার্যক্রম তদারকি করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। মন্ত্রণালয়ের ৯ জন উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল সেবা প্রদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ১টি কেন্দ্রীয় সমন্বয় টিম, ৫টি মনিটরিং টিম, ২২টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম ও ২টি বিশেষজ্ঞ ভেটেরিনারি মেডিকেল গঠন করেছে।

২৯ কোটি থেকে বেড়ে রাজস্ব আয় ৪৩ কোটি টাকা: রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে এবার অস্থায়ী ১৮টি পশুর হাট বসেছে। এ ছাড়াও গাবতলী ও ডেমরার সারুলিয়ায় রয়েছে দুটি স্থায়ী হাট। এবার দুই সিটি করপোরেশনের হাটগুলো থেকে আয় হয়েছে ৪৩ কোটি টাকা।

এর মধ্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ২৫ কোটি ৭৫ লাখ ও উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ১৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা আয় করেছে। এর আগে ২০২২ সালে এ আয় ছিল ২৯ কোটি, ২০২১ সালে ৩৫ কোটি টাকা এবং ২০২০ সালে আয় ছিল ৩৬ কোটি টাকা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।