সরকারের পতন অতি সন্নিকটে : মির্জা আব্বাস

facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button

জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কথা বলছেন মির্জা আব্বাস। ছবি: কালবেলা

জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কথা বলছেন মির্জা আব্বাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন অতি সন্নিকটে। যার কারণে তারা এখন প্রলাপ বকছেন।

তিনি বলেন, পতন সন্নিকটে দেখে তারা তাদের অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে যতই অত্যাচার করুক, এ সরকার আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এদেশের মালিক জনগণ। জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আমরা ঈদের পর একদফা আন্দোলনে যাব। এদেশ কারও রাজত্বে চলে না।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, সরকার বলছে উন্নয়ন উন্নয়ন। কীসের উন্নয়ন? দেশে উন্নয়নের নামে বড় বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, আর এর লক্ষ্য হচ্ছে প্রজেক্টের নামে অর্থ লুট করে বিদেশে পাচার করা। যার কারণে আজ ডলার সংকট, টাকার সংকট। যত সংকট তা টাকা পাচারের জন্য।

তিনি বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান এদেশের উন্নয়নের স্থপতি। তিনিই উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। উন্নয়নের যে অগ্রগতি তা শুরু করেছিলেন জিয়াউর রহমান। যে গণতন্ত্র শহীদ জিয়া প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সে গণতন্ত্র আজ হাইজ্যাক হয়ে গেছে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, জনগণ আজ অতিষ্ঠ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশাহারা। এ থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হলে, হাইজ্যাক হওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিতে একদফা আন্দোলন ছাড়া বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, আজ আমাদের অনেক কর্মী জেলে আছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের প্রতি সমাবেদনা জানাচ্ছি। আমরা আশা করি, আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের মুক্ত করব।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সবকিছুর দাম কয়েকগুণ বেড়েছে। এর কারণ অবাধ লুটপাট। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে বিএনপিকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে।

এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রয়াত নেতার রুহের মাগফিরাতে বিশেষ মোনাজাত করেন তারা।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।