খুলনায় কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণে অনিশ্চয়তা

খুলনায় স্থায়ীভাবে কোনো মার্কেট গড়ে না ওঠায় এবারের ঈদেও সড়কের ওপরেই চামড়া কেনা-বেচা করতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। নগরীর চামড়াপট্টি খ্যাত শেখপাড়ায় সড়ক ও ফুটপাথ জুড়েই ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন চামড়া কেনা-বেচা করেছেন ব্যবসায়ীরা।

এদিকে, মার্কেট না থাকায় চামড়া সংরক্ষণেও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আপাতত ক্রয়কৃত চামড়া সড়কের পাশেই লবণ লাগিয়ে জড়ো করে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। যদিও কয়েকদিন পর সেখান থেকে চামড়াগুলো নিয়ে নগরীর জিরো পয়েন্টের গুদামে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।

খুলনায় এবার ১০০, ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন ব্যবসায়ীরা। এবার গরুর চামড়া ট্যানারির নির্ধারিত মূল্য প্রতি বর্গফুট ৪৭-৪৮ টাকা এবং ছাগলের চামড়া প্রতি পিস ৩০-৪০ টাকা করে বিক্রি করেছেন।

চামড়া ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম পিয়ারু জানান, এবার তিনি ২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তার চামড়া জিরোপয়েন্টের একটি গোডাউনে লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। সেখানে ১৫-২০ দিন রাখার পর ট্যানারীতে বিক্রি করা হবে।

ব্যবসায়ী মুসা জানান, তিনি এবার ৭০-৮০ পিস চামড়া কিনেছেন। যার প্রতিটির মূল্য গড়ে ১৫০-৪০০ টাকা পর্যন্ত পড়েছে।

খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির ক্যাশিয়ার মো. বাবর জানান, এবার চামড়ার দাম গত বছরের মতোই আছে। আমি ৪০০ পিস গরুর চামড়া কিনেছি। যার আনুমানিক মূল্য ৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত চামড়া রয়েছে।

খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, তিনি এবার সর্বোচ্চ ৬ হাজার পিস চামড়া কিনতে পেরেছেন। যার পিস প্রতি গড় মূল্য পড়েছে ২০০ টাকা থেকে শুরু করে ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত।

খুলনা কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক কার্তিক ঘোষ বলেন, এ বছর শেখপাড়ার চামড়া ব্যবসায়ীরা সব মিলে ১০ থেকে ১২ হাজার পিস চামড়া কিনেছেন। তবে এর বাইরে ট্যানারি কর্তৃপক্ষ সরাসরি বিভিন্ন মাদরাসা থেকে কিছু চামড়া কিনেছেন।

তিনি জানান, গেল ঈদে খুলনার ব্যবসায়ীরা প্রায় ৮-১০ হাজার চামড়া কিনেছিলেন। এবার পরিমাণ কিছুটা বেড়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।