ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে কোমায় চলে যান সৌদি নাগরিক ফারিস আবু বাতিন। দীর্ঘ চার বছর হাসপাতালের বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকেন। সম্প্রতি কোমা থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরেন তিনি। আর সুস্থ হয়ে প্রথমেই চেয়েছেন পবিত্র কোরআন।
সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আবু বাতিন জানান, কোমা থেকে ওঠার পর প্রথমই একটি কোরআন শরিফ চেয়েছিলেন তিনি।
২০১৯ সালে দুই ভাইয়ের সঙ্গে গাড়িতে যাওয়ার সময় রিয়াদের বাইরে সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন আবু বাতিন। ওই দুর্ঘটনায় তার দুই ভাই নিহত হলেও বেঁচে যান তিনি। তবে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে কোমায় চলে যান তিনি। এরপর ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কোমা থেকে ওঠেন তিনি।
এই চার বছর আবু বাতিনের জীবন থমকে গেলেও থেমে ছিল না বিশ্ব। এ সময়ের মধ্যে বিশ্বে ঘটে গেছে বহু ঘটনা। এর মধ্যে অন্যতম করোনা মহামারি। তবে কোমায় থাকায় এর কিছুই জানতে পারেননি তিনি।
আবু বাতিন বলেন, ‘এ চার বছরে সমাজে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শহর বদলে গেছে।’ তবে করোনা মহামারি তার জন্য অনেক বড় চমক ছিল জানিয়ে আবু বাতিন জানান, অনেক কিছু ঘটার পর তিনি কোমা থেকে মুক্তি পান। তখন অনেকে তাকে কোভিড-১৯ বা করোনা মহামারি সম্পর্কে অবহিত করেন। করোনা সম্পর্কে জানতে পেরে তিনি অবাক হন। এমনকি এ সম্পর্কে প্রথমে কিছু বুঝতেই পারেননি। পরে ইউটিউব থেকে মহামারি সম্পর্কে জানেন।
এ ছাড়া এ সময়ের মধ্যে তার স্ত্রী একটি চাকরি পান এবং তিনি একাই সন্তানদের লালন-পালন করেন বলেও জানান আবু বাতিন।