বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারসাজিতে অর্থ লোপাট


বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. দীন ইসলাম খান, ইনস্ট্রাক্টর(টেক) মো. ইয়াছিন আরাফাত ও ডাটা প্রসেসর সিরাজুল ইসলামের যোগসাযোশে কারসাঁজি করে প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। শুধু বরাদ্ধকৃত অর্থই নয় প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন টেন্ডারে ঠিকাদারের সাথে আতাত করে নি¤œমানের পন্য ও টেন্ডার স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী মালামাল না রেখে অর্থ আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গড়ে তুলেছেন তার নিজস্ব সিন্ডিকেট। তাই এসব বিষয়ে মুখ খুলতে ভয় পাচ্ছেন কলেজের অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট সুত্রে জানা গেছে, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে তিনটি স্মারকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এর অনুকূলে বরাদ্ধ দেওয়া হয় ৩ কোটি ৯ লাখ ৬৮ হাজার ৬শ টাকা। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর একটি বরাদ্ধে কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় ১ লাখ, আবাসিক ভবন মেরামত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা মেরামত ২ লাখ টাকা, অন্যান্য যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি মেরামত ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২০ জুলাই আর একটি বরাদ্ধে নগদ মজুরি ও বেতন বাবদ ১ কোটি ৩৬ লাখ ২৮ হাজার ৬শত টাকা, প্রশাসনিক ব্যায় ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ফি, চার্জ ও কমিশন ৮০ হাজার টাকা, পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট ২ লাখ টাকা, অভ্যন্তরীণ ভ্রমন ও বদলি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মুদ্রণ ও মনিহারি ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সাধারণ সরবরাহ ও কাঁচামাল সামগ্রী ১১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, পেশাগত সেবা, সম্মানী ও বিশেষ ব্যায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, মেরামত ও সংরক্ষণ ব্যায় ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা, আবর্তক শ্রেণীবদ্ধ স্থানান্তর ব্যায় ৪০ হাজার টাকা ও যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি ব্যায় বাবদ ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রæয়ারি অন্য আরো একটি বরাদ্ধে প্রশিক্ষণ বাবদ ৬৮ লাখ ১১ হাজার, কম্পিউটার সামগ্রী ক্রয় ১ লাখ ৫০ হাজার, প্রকৌশল ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি বাবদ ৫০ লাখ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. দীন ইসলাম খান, ইনস্ট্রাক্টর(টেক) মো. ইয়াছিন আরাফাত ও ডাটা প্রসেসর সিরাজুল ইসলামের যোগসাযোশে কারসাঁজি করে প্রতিষ্ঠানের অনুকুলে বরাদ্ধকৃত বিভিন্ন খাত থেকে হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে লাখ লাখ টাকা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সহযোগী ডাটা প্রসেসর সিরাজুল ইসলাম প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে এখানে কর্মরত রয়েছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানের ডাটা প্রসেসর হলেও দায়িত্ব পালন করছেন হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, প্রধান সহকারী ও ক্যাশ সরকারের। অভিযোগ রয়েছে যে অধ্যক্ষই এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব নিয়ে আসুক না কেন তাকে ম্যানেজ করে বহাল তবিয়াতে নিজের অবস্থান টিকিয়ে রেখেছেন তিনি। অধ্যক্ষরাও তার কাছ থেকে অবৈধ স্বার্থ হাসিল করার উদ্দেশ্যে তাকে একই পদে বহাল রেখে গেছেন। এজি অফিস থেকে শুরু করে ভূয়া বিল ভাউচার তৈরি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠানে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা না থাকলেও রয়েছেন একজন ক্যাশিয়ার তবে তাকে দেওয়া হয়নি কোন দায়িত্ব। অধ্যক্ষের আরেক সহযোগী মো. ইয়াছিন আরাফাত ইনস্ট্রাক্টর(টেক) ইলেকট্রনিক্সরে বিভাগীয় প্রধান। একই সাথে তিনি দায়িত্ব পালন করছেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ও ই-জিপি কর্মকর্তা হিসেবে। ইয়াছিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে টেন্ডার সিডিউলের নির্ধারিত দর তার পছন্দের ঠিকাদারদের অর্থের বিনিময়ে দিয়ে কাজ প্রাপ্তিতে সহযোগীতা করেন। এই তিন জনের যোগসাযোশে প্রতিষ্ঠানে চলছে অর্থ লোপাটের মহোৎসব।

ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও ই-জিপি কর্মকর্তা ইয়াসিন আরাফাতের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের ইনস্ট্রাক্টর হয়ে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে আসছি। ঠিকাদারদের সাথে আমার কোন পূর্ব যোগাযোগ নেই। কোন ঠিকাদারদের কাছ থেকে অর্থের বিনিময়েও কোন কিছু করিনি। ডাটা প্রসেসর সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দীন ইসলাম খান, ইনস্ট্রাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও ডাটা প্রসেসর সিরাজুল ইসলামের যোগসাযোশে আসবাপত্র মেরামত বাবদ ৪৩ হাজার ৯শ ৮৮ টাকা, বৈদ্যুতিক স্থাপনা বাবদ ৬৪ হাজার ২শ ৮০ টাকা, কাচামাল ও খুচরা যন্ত্রাংশ বাবদ ৮৭ হাজার ৫২ টাকা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা সামগ্রী ১৯ হাজার ৫শ টাকা, অফিস সরঞ্জাম ক্রয় বাবদ ৩৯ হাজার ১শ ৫০ টাকা, আপ্যায়ন ১০ হাজার ৫শ টাকা, অন্যান্য যন্ত্রপাতি মেরামত বাবদ ১ লাখ ২৮ হাজার ১শ ৫০ টাকা, অধিকাল ভাতা বাবদ ৭৮ হাজার ৩শ ৩৪ টাকা, ফিটিং ফিক্সার বাবদ ৫৬ হাজার ৫শ ৯৮ টাকা, অনিয়মিত শ্রমিক মজুরি বাবদ ৭৭ হাজার ৫শ টাকা, ক্রিড়া সামগ্রী ক্রয় বাবদ ১ লাখ ৯ হাজার ৬শ টাকাসহ মোট ৭ লাখ ১৪ হাজার ৬শ ৫২ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

বরগুনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চিফ ইনস্ট্রাক্টর (ননটেক) ও টেন্ডার কমিটির সদস্য মো. আলতাফ হোসেন বলেন, প্রধান শিক্ষক ও তার সহযোগী ইলেকট্রনিক্স বিভাগের বিভাগী প্রধান মো. ইয়াছিন আরাফাত ও ডাটা প্রসেসর মো. সিরাজুল ইসলামের যোগসাযোশে এসকল টাকা আত্মসাত করেছেন। শুধু এখানেই নয় প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদারী কাজে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাযোশে নি¤œমানের সামগ্রী নিয়েও লাখ লাখ টাকা আত্মসাত করেছেন। এসব বিষয়ে আমি প্রতিবাদ করায় অধিদপ্তরে কাছে অভিযোগ করিয়ে আমাকে বদলি করতে বাধ্য করা হয়েছে।

২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের ১২ জানুয়ারি তারিখ ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা মূল্যের ৬টি লটের একটি টেন্ডার আহŸান করে বরগুনা পলেটেনিক ইনস্টিটিউট। টেন্ডারের মধ্যে রয়েছে, কম্পিটার বিভাগের জন্য ৩১ টি কম্পিউটার ক্রয়, সিভিল টেকনোলজি বিভাগের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রপাতি ক্রয়, রেফরিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশ টেকনোলজি বিভাগের জন্য যন্ত্রপাতি ক্রয়, অফিস ইকুইপমেন্ট ক্রয়, কম্পিউটার যন্ত্রাংশ ক্রয়, স্পেয়ার পার্টস ক্রয় করার কথা রয়েছে। অনুসন্ধানে নেমে তথ্য আসে এই সকল টেন্ডারে ঠিকাদারদের সাথে যোগসাযোশে আত্মসাৎ করা হয়েছে লাখ লাখ টাকা।

সরেজমিনে একজন আইটি বিশেষজ্ঞ নিয়ে বরগুনা পলিটেকনিক ইসন্টিটিউটের কম্পিউটার বিভাগ, সিভিল টেকনোলজি বিভাগ ও রেফরিজারেশন এন্ড এয়াকন্ডিশন বিভাগে গিয়ে দেখা যায় কারচুপির মহোৎসব। এসময় প্রতিবেদকের সাথে প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেকটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে কম্পিউটার বিভাগে গিয়ে ক্রয়কৃত কম্পিটারগুলো দেখতে চাইলে সেগুলো ওপেন করে দেন সেখানকার দায়িত্বরতরা। এসময় আইটি বিশেষজ্ঞ রনি আইটি বিডির সত্বাধিকারী ফকরুল ইসলাম রনি ও প্রতিষ্ঠানের বিভাগীয় প্রধান তৌফিকুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের অন্য শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন। কম্পিটার ওপেন করার পর টেন্ডারে চাহিত স্পেসিফিকেশন এর সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর তাদের সামনেই বেশ কয়েকটি কম্পিউটারের সিপিও পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যেখানে ব্রান্ড পিসি দেওয়ার কথা ছিলো সেই অনুযায়ী একটি ব্রান্ডের নাম ব্যবহার করা হলেও বাস্তবে দেওয়া হয়েছে কাস্টমাইজ করা ক্লোন পিসি। যার সাথে যে ব্রান্ডের পিসি দেওয়া হয়েছে তার কোন মিল নাই। বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক বিভাগীয় প্রধানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদেরকে পিসি গুলো ওপেন করে সফট্যয়ারগত স্পেসিফিকেশন দেখিয়ে গেছে। সময় স্বল্পতা ও ওয়ারেন্টি ইস্যুর কারনে পিসি খুলে চেক করা হয়নি। বিষয়টি খুবই ভয়াবহ। আমাদের বিশ^াসের সুযোগ নিয়ে তারা আমাদের সাথে প্রতারণা করেছে। আমরা আমাদের প্রতিষ্ঠানের প্রধানকে জানিয়ে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করবো।

এবিষয়ে রনি আইটি বিডির সত্বাধিকারী ও আইটি বিশেষজ্ঞ ফকরুল ইসলাম রনি বলেন, কোন ব্রান্ড পিসিতে কাস্টমাইজ করার সুযোগ নেই। আমরা সরেজমিনে পরিদর্শন করে যেটি দেখেছি এটি ভয়াবহ ব্যাপার । একটি ব্রান্ডের নাম ব্যবহার করে তারা অত্যন্ত নি¤œমানের যন্ত্রাংশ নিয়ে পিসি তৈরি করেছে। যেখানে টেন্ডার সিডিউল অনুযায়ী যদি ব্রান্ড পিসি ক্রয় করতে যায় তবে কোম্পানি ভেদে এক একটি ব্রান্ড পিসির দাম পড়বে ৭০-৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। সেখানে মাত্র ২৫-৩০ হাজার টাকা ব্যায় করে এই পিসি নির্মাণ করা হয়েছে।

এবিষয়ে কম্পিউটার সরবরাহকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ডাটা সলিউশনের আইটি কর্মকর্তা রনি আহমেদ বলেন, আমরা টেন্ডারের স্পেসিফিকেশনে যে ধরনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়েছে আমরা সেইসব স্পেসিফিকেশন মেনেই ব্রান্ডের কম্পিউটার সরবরাহ করেছি। আমাদের কম্পিউটারগুলো ক্লোন কিংবা কাস্টমাইজ করা হলে আমরা সরবরাহকারী ব্রান্ডের সাথে চ্যালেঞ্জ করবো।

কম্পিউটার বিভাগ পরিদর্শন শেষে সরেজমিনে পরিদর্শন করা হয় সিভিল টেকনোলজি ও রেফরিজারেশন এন্ড এয়ারকন্ডিশন টেকনোলজি বিভাগে। এসময়ও স্ব স্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগন উপস্থিত ছিলেন। তাদের নিয়ে পণ্যের মান যাচাই ও টেন্ডার সিডিউলের স্পেসিফিকেশন এর সাথে মিল আছে কিনা দেখতে গেলে সেখানেও ধরা পড়ে অসঙ্গতি। ব্রান্ড কোম্পানি থেকে সরঞ্জাম ক্রয়ের কথা উল্লেখ থাকলেও কোন প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ড খুজে পাওয়া যায়নি। অধিকাংশ সসরঞ্জামের আইএসও সনদ বাধ্যতামূলক থাকলেও অধিকাংশ সরঞ্জামেরই আইএসও সনদ নেই। এবিষয়ে তাৎক্ষনিক সিভিল বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মইনুদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সনদ চেক করে রাখা হয়নি। আমরা দেখেছি মেশিন চলমান আছে তাই রেখে দিয়েছি। টেন্ডার কমিটিও মালামাল বুজে রেখেছে। তারপরও টেন্ডার স্পেসিফিকেশনে কি রয়েছে এটি যাচাই বাছাই করে আমি আমার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিসয়টি জানাবো।

এবিষয়ে সিভিল টেকনোলজি বিভাগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান অ্যাডভান্স টেকনোলজি কনসোর্টিয়াম লিমিটেড এর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিুক একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ হয়। অথচ প্রতিষ্ঠানের আসবাপত্র, ফ্যানসহ কোন কিছুই ঠিক করা হয় না। ফ্যানের অভাবে আমরা ছাত্র-ছাত্রীরা প্রচন্ড গরমে ক্লাস ও পরীক্ষা দিয়ে থাকি। প্রতিষ্ঠানের একটি পানি পান করার কল ছাড়া বাকিগুলো নষ্ট। পানির পিপাসা পেলে সুপেয় পানির জন্য প্রতিষ্ঠানের বাইওে গিয়ে দোকান থেকে পানি পান করতে হয়। তাহলে প্রতিষ্ঠানে বরাদ্ধকৃত এতো টাকা কোথায় যায়?

এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর কাছে প্রতিষ্ঠানে বরাদ্ধকৃত অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আমার সকল বিভাগীয় প্রধানদের নিয়ে মিটিং করে সমস্ত অর্থ বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে ব্যায় করি। অথচ কিছু কুচক্রি মহল আমরা বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ছড়াচ্ছে। কম্পিউটার, সিভিল টেকনোলজি ও আরএসি টেকনোলজি বিভাগের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাযোশে নি¤œমানের পন্য নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সমূহের সাথে আমার কোন আর্থিক লেনদেন হয়নি যার ফলে আমি নি¤œমানের পন্য রাখবো। তবে তারা আমাদের সাথে যে প্রতারণা করেছে এবিষয়টি নিয়ে আমরা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে জানাবো। তাদের সিকিউরিটি মানি আমাদের কাছে গচ্ছিত আছে আমরা আরো এক্সপার্টিস ব্যবহার করে ঘটনার সত্যতা পেলে তাদের অর্থ আটকে দিবো। প্রয়োজনে তারা যেন আর কোথাও এ ধরনের প্রতারণা না করতে পারে তার জন্য তাদের লাইসেন্স ব্লাকলিস্ট করার জন্য সুপারিশ করা হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।