রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবন থেকে সিসিটিভিতে বরিশাল ও খুলনার সিটির ভোট পর্যবেক্ষণ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার সকাল থেকে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান, রাশেদা সুলতানা ও মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের বেজমেন্টে স্থাপিত সিসিটিভি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম থেকে খুলনা ও বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সরাসরি মনিটরিং করছেন।
ভোট শুরুর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে , শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট চলছে, কোথাও কোনোধরনের গোলযোগ বা অপ্রীতিকর কোনও ঘটনা কমিশনের নজরে পড়েনি।
খুলনায় ভোটার সংখ্যা পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ দুই লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন। তার মধ্যে নতুন ভোটার প্রায় ৪০ হাজার। জয়-পরাজয়ের অন্যতম নির্ধারক তারাই।
তবে, নতুন ভোটার ছাপিয়ে এবার মূল ফ্যাক্টর ‘বিএনপির ভোট’। ২০১৩ ও ২০১৮ সালের সিটি নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা লাখের উপর ভোট পেয়েছিলেন। বিএনপি এবার নির্বাচনে নেই। তাই, দলটির ভোট কার বাক্সে যাবে শহরজুড়ে সেই আলোচনা।
এই সিটিতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন পাঁচ জন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের তালুকদার আব্দুল খালেক, জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের শফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের হাতপাখা প্রতীকের আব্দুল আউয়াল, জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকের এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক।
এ ছাড়া ৩১টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৩৬ জন ও ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্যে নগরীর ১৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে দুই জন কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
অন্যদিকে বরিশালে ভোটার সংখ্যা দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন এবং নারী এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন।
এই নির্বাচনে সাত জন মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত (নৌকা), জাতীয় পার্টির ইকবাল হোসেন তাপস (লাঙ্গল), বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলনের মুফতি ফয়জুল করিম (হাতপাখা), জাকের পার্টির মিজানুর রহমান বাচ্চু (গোলাপ ফুল), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. কামরুল আহসান (টেবিল ঘড়ি), মো. আলী হোসেন হাওলাদার (হরিণ) এবং মো. আসাদুজ্জামান (হাতি)।
তবে মেয়র ভোটের হিসেব না মিললেও ভোট উৎসবের আমেজ নগরজুড়ে। বড় চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে যেমন হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস; তেমনি কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যেও তুমুল লড়াইয়ের আভাস মিলছে বেশিরভাগ ওয়ার্ডে।
সিটির ৩০টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১০টি পদের বিপরীতে ৪২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন। নির্বাচনে দুই নারী সাধারণ কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের রোজিনা শেখ আয়শা ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের ফরিদা বেগম। মোট ছয় জন নারী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও শেষ মুহূর্তে চার জন তা প্রত্যাহার করেন।