অতি উৎসাহী ৫৫ পুলিশের তালিকা বিএনপির

‘কর্মসূচিতে বাধা দানকারী’ অতি উৎসাহী ৫৫ পুলিশ কর্মকর্তার তালিকা করেছে বিএনপি। স্থানীয় নেতাদের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী এ তালিকা করা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তাদের সবাই ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বিভিন্ন জেলায় দায়িত্বে ছিলেন। বর্তমানে তারা ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি, এসপিসহ বিভিন্ন পদে কর্মরত আছেন। এ তালিকার একটি কপি কালবেলার কাছে রয়েছে।

দেশব্যাপী গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ‘শান্তিপূর্ণ’ কর্মসূচিতে বাধাদানকারী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করতে ২৩ মে ১৪ সদস্যের একটি ‘তথ্য সংগ্রহ কমিটি’ গঠন করে বিএনপি। এই কমিটি গায়েবি ও মিথ্যা মামলা, গুম-খুন, সহিংস আক্রমণ, অগ্নিসংযোগসহ কর্মসূচিতে বাধা প্রদানকারী ব্যক্তিদের তথ্য সংগ্রহ করছে। বিশেষ করে যেসব পুলিশ কর্মকর্তা ওই ‘কর্মকাণ্ডে’ জড়িত তাদের তথ্য-উপাত্ত চেয়ে গত মাসের শেষ দিকে বিএনপির সব জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের কাছে চিঠি দেয় বিএনপি। এরই মধ্যে অধিকাংশ জেলার নেতারা তাদের রিপোর্ট কেন্দ্রে জমা দিয়েছে। সেসব থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সেল পুলিশের ৫৫ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নামের একটি প্রাথমিক তালিকা করেছে।

২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় নির্বাচনের সময় বিভিন্ন জেলায় এসপি হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী যেসব পুলিশ অফিসারের নামের তালিকা বিএনপি করেছে তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৩ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১, সিলেট বিভাগে ৪, ময়মনসিংহ বিভাগে ৪, রংপুর বিভাগে ৮, রাজশাহী বিভাগে ৮ ও খুলনা বিভাগে ৭ জন পুলিশ অফিসার রয়েছেন। যারা সবাই এখন পুলিশের বিভিন্ন বড় পদে কর্মরত।

বিএনপির সংশ্লিষ্ট নেতারা জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা-মহানগরের নেতারা সরকারবিরোধী আন্দোলনে হামলাকারীদের ছবি, ভিডিওসহ যাবতীয় তথ্যও সংগ্রহ করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর সূত্রের দাবি, যেসব পুলিশ কর্মকর্তার নাম পাওয়া গেছে তারা সবাই কমবেশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ সঙ্গে জড়িত।

বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সময় গুম-খুন, নিপীড়ন, গায়েবি মামলার সঙ্গে জড়িত বাহিনীটির অধঃস্তন কর্মকর্তাদের তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরে সেটি ঢাকাস্থ দূতাবাসের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া সংরক্ষণ করা হবে দলের আর্কাইভেও।

গত ২৪ মে মার্কিন ভিসানীতি ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী নির্বাচন ও চূড়ান্ত আন্দোলন সামনে রেখে পুলিশের এসব কর্মকর্তাকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে বিএনপির হাইকমান্ড। এর অংশ হিসেবে এই তালিকা করছে দলটি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।