পুলিশের উপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগেইউপি চেয়ারম্যানসহ ৫জন গ্রেফতার

বেতাগী (বরগুনা) প্রতিনিধিঃ

পুলিশের সরকারি কাজে বাধা দেওয়া ও তাদের উপর হামলার অভিযোগে বরগুনার বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দারসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ। বরগুনা সদর থানা পুলিশের উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় ইউপি চেয়ারম্যান শিপন জোমাদ্দারের ছোট ভাই মো.টিটু জোমাদ্দারকে প্রধান আসামী করে ৪১ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।বর্তমান চেয়ারম্যান শিপন জোমাদ্দার দুই নম্বর ও সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ শরীফ তিন নম্বর আসামি। বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বিকালে আটককৃতদের জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামিরা হলেন, বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার, পূর্ব সড়িষামুড়ি গ্রামের মৃত ইউনুছ জোমাদ্দারের ছেলে খোকন জোমাদ্দার, একই গ্রামের মো. হারুনের ছেলে মো. হুমায়ুন কবির, মৃত খালেক খানের ছেলে মো. বশির খান ও উত্তর ভোড়া গ্রামের শাহ আলম খানের ছেলে কবির হোসেন খান।

এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার সড়িষামুড়ি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ইমাম হাসান শিপন জোমাদ্দার ও ওই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ শরিফের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক সহিংসতার কারণে হত্যা মামলা সহ একাধিক মামলা চলমান রয়েছে। ইউসুফ শরিফ তাঁর ছেলে ও কর্মীদের নিয়ে বুধবার সকালে একটি মামলার বরগুনা আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচ্চন্না এলাকায় পৌঁছালে শিপন জোমাদ্দারের সমর্থকদের বাঁধার মুখে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে বরগুনা সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে আসে। তাঁরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করলে তাঁরা পুলিশের উপরও হামলা চালায়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২ রাউন্ড গ্যাস সেল ও শর্টগান দিয়ে ৬ রাউন্ড ফাকা গুলি চালালে উভয় পক্ষ পালিয়ে যায়।

মামলার বাদী ও বরগুনা সদর থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, পুলিশের কাজে বাধা দেয়ায় বর্তমান ও সাবেক চেয়াম্যানদের আসামি করে ৪১ জনের নামে মামলা দায়ের কারা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গতকাল ইউসুফ শরীফের গ্রুপ কোর্টে হাজিরা দিতে আসছিলো। তারা অনেক লোকজন নিয়ে আসতেছিল। অন্যদিকে শিপন জোমাদ্দারের গ্রুপ টিটুর নেতৃত্বে হামলা করে। এরই মধ্যে আমরা এসে দুপক্ষকে থামানো চেষ্টা করি। সবাইর হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল। কেউ কারো কথা শুনছিল না।দুপক্ষই অপরাধ করছে। শিপন জোমাদ্দার গ্রুপ হামলা করার পরে ইউসুফ শরীফ গ্রুপও পাল্টা হামলায় নামে। আমরা মাঝখানে পড়ায় বড় ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি। আমরা দুপক্ষকে থামানো জন্য ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি করতে বাধ্য হয়েছি। এর মধ্যে আমাদের সদর থানার ওসি স্যারের নেতৃত্বে পুলিশ আসায় দুপক্ষই পালিয়ে যায়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আহমেদ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

হৃদয় হোসেন মুন্না
প্রতিনিধি
বেতাগী, বরগুনা।
০১৭৭৯৭৮৭৬৪৬

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।