আমি এখনো জীবিত আছি, শুকরিয়া: সালাহউদ্দিন

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর সেখানকার একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করে।

এর পর দিন তাকে শিলং সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে শিলং পুলিশ। প্রায় সাত বছর বিচার চলার পর এ বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি তাকে বেকসুর খালাস দেন শিলং জজ আদালতের আপিল বিভাগ। তাকে দ্রুত দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন আদালত। এর পর দেশে ফিরতে ৮ মে ভারতের গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার বরাবর ট্রাভেল পাশের আবেদন করেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ট্রাভেল পাশ দেয়। সবশেষ গত ১২ জুন সোমবার রাতে দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাশ হাতে পান তিনি। এর পরই আলোচনা শুরু হয় কবে দেশে ফিরবেন তিনি। এ নিয়ে গত বুধবার শিলং শহরের সানরাইজ গেস্ট হাউসে সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে একান্ত আলোচনা হয় যুগান্তরের।

আপনার জীবনে যে ঘটনাটি ঘটেছে তাতে ক্ষতির পরিমাণ কীভাবে বিবেচনা করেন— এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি, আমি এখনো জীবিত আছি। আমার অনেক সহকর্মীর মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা আমার মতো সৌভাগ্যবান হতে পারেনি। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, অনেকের লাশও মেলেনি। সেই হিসাবে যদি ক্ষতির বিষয়টি বলি, আমার শারীরিক বা মানসিক ক্ষতির চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আমাদের দেশের, স্বাধীনতার, জননিরাপত্তার, সার্বভৌমত্বের, স্বাধীন রাজনীতির এবং মানুষের অধিকারের, কথা বলার অধিকারের।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের যে পরিস্থিতি, তা দেখে তরুণ প্রজন্ম মনে করে—এই দেশটি কি আসলেই স্বাধীন? এটিই আমাদের সবচেয়ে বড় ক্ষতি। আমি বলব আমার প্রিয় দেশবাসীকে, আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা, ভোটের অধিকার ও মানুষের কথা বলার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এর মধ্য দিয়ে আমরা হয়তো কিছুটা ক্ষতিপূরণ করতে পারব। আমি ব্যক্তিগত লাভ-ক্ষতির কথা বিবেচনায় আনছি না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।