মিষ্টির প্যাকেটে ঘুষ, ডিবির হাতে ধরা দুদক কর্মকর্তা

মিষ্টির প্যাকেটে ঘুষ, ডিবির হাতে ধরা দুদক কর্মকর্তা
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে- এই আশ্বাসে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের সময় চারজনকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

এদের মধ্যে একজন একজন হলেন দুদকের মানিলন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম ভট্টাচার্য। আরেকজন চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্য, বাকি দুইজন তার সহযোগী।

শনিবার সকালে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ও ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ।

তিনি জানান, এই চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে দুদকের প্যাড, সিল, খাম ব্যবহার করে মানুষকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিল।

হারুন অর রশিদ বলেন, দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতির আশ্বাস দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হচ্ছে এমন তথ্য পায় গোয়েন্দা পুলিশ। এর ভিত্তিতে মতিঝিলের হিরাঝিল হোটেলে অভিযান চালানো হয়।

‘সেখানে ঘুষ নিতে যান দুদকের মানিলন্ডারিং বিভাগের মহাপরিচালকের ব্যক্তিগত সহকারী গৌতম ভট্টাচার্য, পুলিশের এক চাকরিচ্যুত কনস্টেবল ও তার দুই সহযোগী।’

গোয়েন্দা প্রধান হারুন বলেন, মিষ্টির প্যাকেট ভর্তি টাকা লেনদেনের সময় হাতেনাতে তাদের আটক করা হয়। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সই জাল করে আশিকুজ্জামান নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের একটি চিঠি তৈরি করেন গৌতম ভট্টাচার্য। দুদকে অভিযোগ নথিভুক্ত না করা হয় সেজন্যই লেনদেন হচ্ছিল ঘুষের।

গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, দুদকের নামে চাঁদাবাজির বেশ কিছু অভিযোগ যায় কমিশনের কাছে। এই চক্রের সদস্য সংখ্যা অনেক। সারাদেশেই রয়েছে চক্রের সদস্য। মূলত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে এই চক্রের সদস্যরা।

দুদকের ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা এ চক্রের সাথে জড়িত আছে কিনা তাও ক্ষতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।