মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনের সমাপ্তি, ফিরছেন ১৬৭৯ বাংলাদেশি

পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে প্রায় ১২ বছর ধরে চলতে থাকা শান্তিরক্ষা মিশন গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। শনিবার (১ জুলাই) দেশটি থেকে মিশন গুটিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু হওয়ার কথা।

মালির সামরিক জান্তা দুই সপ্তাহ আগে হঠাৎ করেই দেশটি থেকে শান্তিরক্ষীর শক্তিশালী বাহিনীকে চলে যেতে বলার পর নিরাপত্তা পরিষদ শুক্রবার (৩০ জুন) শান্তিরক্ষা মিশন বাতিলের এ সিদ্ধান্ত নিল।

ফলে মালিতে অবস্থানরত শান্তিরক্ষী বাহিনীকে ৩০ জুন থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মালি শান্তিরক্ষা মিশন প্রত্যাহার করতে হবে।

ঢাকায় জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা বলেছেন, শান্তিরক্ষা বাহিনী যে দেশে কাজ করে, সেই দেশের সরকারের সম্মতি ও অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা আছে। এ কারণে মালিতে শান্তিরক্ষা মিশন রাখার কোনো সুযোগই নেই।

জাতিসংঘের মালি মিশনের প্রধান এল গাসামি জানান, কোনো দেশের সম্মতি ছাড়া সে দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা প্রায় অসম্ভব। এর আগে দেশটিতে এখনো পূর্ণ শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়ায় এ মিশনের সময় বাড়ানোর পরামর্শ দেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

মালিতে এ পর্যন্ত শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত অবস্থায় তিনশ’র বেশি শান্তিরক্ষী প্রাণ হারিয়েছেন। এতে বিশ্বের সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ শান্তিরক্ষা মিশনে পরিণত হয়েছে দেশটিতে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মালিতে বাংলাদেশের ১ হাজার ৩৯৬ জন সৈন্য ও ২৮৩ জন পুলিশসহ ১৫ দেশের ১৫ হাজার ২০৯ জন সৈন্য ও পুলিশ শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন রয়েছে। বেসামরিক কর্মীসহ সব মিলিয়ে মোতায়েন আছে ১৬ হাজার ৭৯ জন।

শান্তিরক্ষা মিশন নিয়ে জাতিসংঘ এবং মালির সামরিক জান্তার মধ্যে কয়েক বছর ধরেই প্রবল উত্তেজনা চলছিল। চলতি মাসে মালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুলায়ে দিয়োপ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সঙ্গে এক আলোচনায় শান্তিরক্ষীদের ‘যত দ্রুত সম্ভব’ সরিয়ে নিতে আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।