হাফ ছেড়ে বাঁচল শ্রীলঙ্কা

দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন না পারলেও একবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন করে দেখাল। আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে এক ম্যাচ হাতে রেখেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছে ১৯৯৬–এর চ্যাম্পিয়নরা। সুপার সিক্স পর্বের ম্যাচে রোববার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯ উইকেটের জয়ে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে দাসুন শানাকার দল।

আজ বুলাওয়ের কুইন্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠে শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে দুই দলই নেমেছিল বিশ্বকাপ নিশ্চিত করার লক্ষ্য নিয়ে। টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের ইনিংসে শুরুর ধাক্কাটা দেন দিলশান মাদুশঙ্কা। পাওয়ার প্লের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান জয়লর্ড গাম্বি (০), ক্রেইগ আরভিন (১৪), ওয়েসলি মাধেভেরেকে (১) ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠান।

চাপ সামাল দিয়ে চতুর্থ উইকেটে ৬৮ রানের জুটি গড়েন সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস। জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ একশ ছোঁয়ার আগে দাসুন শানাকার বলে দারুণ ক্যাচ নিয়ে রাজাকে ফেরান মাদুশঙ্কা। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫১ বলে ৩০ রান করেন রাজা।

একপ্রান্ত ধরে রেখে অর্ধশতক পূর্ণ করেন দারুণ ছন্দে থাকা উইলিয়ামস। কিন্তু এরপর ইনিংস বড় হয়নি তার। থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ৬ চার ও ১ ছক্কায় ৫৭ বলে ৫৬ রান করা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। চলতি টুর্নামেন্টে ছয় ম্যাচে এটি তার পঞ্চম পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস।

এরপর রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুয়েদের ছোট ছোট ইনিংসে ১৫০ এর গণ্ডি পেরোয় জিম্বাবুয়ে। শেষ পর্যন্ত তাদের ইনিংস গুটিয়ে যায় ১৬৫ রানে।

লঙ্কানদের হয়ে মাদুশঙ্কা নেন ৩ উইকেট। মাথিশা পাথিরানা ধরেন ২ শিকার।

স্বল্প রান তাড়ায় তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি শ্রীলঙ্কার। পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুত করুনারত্নের উদ্বোধনী জুটিই তুলে ফেলে ১০৩ রান। করুনারত্নে ৫৬ বলে ৩০ রান করে আউট হলেও নিশাঙ্কা টিকেছিলেন জয় নিশ্চিত পর্যন্ত। ৩৪তম ওভারের প্রথম বলে চার মেরে দলের জয় যেমন নিশ্চিত করেন, পূর্ণ করেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিও। অবশ্য ১০২ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থেকেও নিশাঙ্কা ম্যাচসেরা নন। সেরার পুরস্কারটি উঠেছে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেওয়া তিকশানার হাতে।

এই জয়ের সৌজন্যে ৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে বাছাই থেকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট পেল শ্রীলঙ্কা। ৬ পয়েন্ট নিয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচের অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে স্বাগতিক জিম্বাবুয়েকে। জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট ৬, এক ম্যাচ কম খেলা স্কটল্যান্ডের পয়েন্ট ৪। জিম্বাবুয়ে স্কটিশদের কাছে হেরে গেলে বাদ পড়ার শঙ্কায় থাকবে, কারণ স্কটল্যান্ডের আরও একটি ম্যাচ থাকবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।