ভারত থেকে আনা চিনি বিক্রি হচ্ছিলো ফ্রেশের নামে

চোরাই পথে ভারত থেকে আনা চিনি শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রেশ ব্রান্ডের বস্তায় ভরে বিক্রির অপরাধে সিলেটের কালীঘাটের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সেই সাথে চোরাপথের চিনি দেশি প্রতিষ্ঠানের নামে বিক্রির অভিযোগে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে।

তামাবিল স্থলবন্দর এবং জৈন্তাপুর, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইন ঘাট ও কানাইঘাট সীমান্ত পথে দীর্ঘদিন ধরেই দেশের বাজারে ঢুকছিল ভারত থেকে আসা চোরাই চিনি। সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতীয় এই চিনি সরাসরি চলে আসছে সিলেটের বন্দর বাজারের কালীঘাটে।

ডি আই ট্রাকে করে এই চিনি কালীঘাটে পৌঁছানোর সাথে সাথেই তা ভরা হয় দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী মেঘনা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের ফ্রেশ ব্র্যান্ডের বস্তায়। এভাবেই ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করে আসছিলো কালীঘাটের ব্যবসায়ীরা। এমন প্রতারণার খবর পেয়ে র‍্যাবকে সাথে নিয়ে কালীঘাটে অভিযান করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অভিযানে, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের বস্তায় ভরে রাখা ৫০ কেজির শতাধিক বস্তা ভারতীয় চিনি পাওয়া যায়। এমন অপরাধে রঘু এন্টারপ্রাইজকে ৫০ হাজার, মেসার্স মাখন চন্দ্র পালকে ২০ হাজার, ভাই ভাই স্টোরকে ১৫ হাজার, রুপন স্টোরকে ১৫ হাজার ও মেসার্স রত্নদ্বীপ চৌধুরীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, ফ্রেশ ব্র্যান্ডের বস্তায় ভরে ভারতীয় চিনি বিক্রি করলে অসাধু ব্যবসায়ীদের জেলে পোরা হবে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফখরুল ইসলাম বলেন, অভিযান চালিয়ে আমরা বেশ কিছু দোকানে দেখেছি তারা, নিন্মমানের চিনি ফ্রেশে ব্যান্ডের নাম ব্যবহার করে বিক্রি করছিলেন। আমরা অভিযুক্ত ৫ থেকে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছি।

ভোক্তাদের সাথে প্রতারণা করলে পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেয়া হবে বলেও জানান ফখরুল ইসলাম।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।