উড়াল সড়কে চলবে না বাইক, থ্রি-হুইলার

রাজধানী ঢাকার যানজট নিরসনে চালু হতে যাচ্ছে আরো একটি বহুল প্রতিক্ষীত বড় প্রকল্প। সেপ্টেম্বরেই খুলে দেয়া হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা উড়াল সড়কের বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ।

তবে দ্রুতগতির এই উড়াল সড়কে চলবে না বাইক ও থ্রি-হুইলার। শনিবার নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এমনটাই জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল করবে।

হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ২০ কিলোমিটার। এর মধ্যে এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সেপ্টেম্বরে উদ্বোধন করা হবে।

সড়কে ওঠানামার জন্য র‍্যাম্প থাকবে ৪১ টি র‍্যাম্প আছে। এই হিসাবে উড়াল সড়কের দৈর্ঘ্য হবে ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার।

উড়াল সড়কটি কুড়িল, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে রেল লাইনের ওপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। প্রকল্পের ব্যয় হচ্ছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা।

ইতাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন নামের একটি বিদেশি কোম্পানি প্রকল্পের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে। রাজধানীর আশেপাশে যানবাহন চলাচল সহজ করার লক্ষ্যে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। টোল আদায়ের মাধ্যমে প্রকল্প থেকে বিনিয়োগকারীরা অর্থ তুলবে।

প্রকল্পটি নির্মাণের সুবিধার্থে তিনটি অংশে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অংশে বিমানবন্দর থেকে বনানী রেল স্টেশন পর্যন্ত। দ্বিতীয় অংশে বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত এবং শেষ অংশে রয়েছে মগবাজার থেকে কুতুবখালী।এক্সপ্রেসওয়েটিতে ১১টি টোল প্লাজা থাকবে। যার পাঁচটিই এক্সপ্রেসওয়ের উপরে। এর উপর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৮০ হাজার যানবাহন চলাচল করতে পারবে। দ্রুতগতির এই উড়াল সড়ক চালু হলে যোগাযোগ ব্যয় ও ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।