আর্থিক অনিয়মে বাফুফেকে দ্বিতীয় দফায় ফিফার শোকজ

দুঃসময় যেন এখনো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পিছুই লেগেই আছে। আর্থিক অনিয়মের জন্য আবারও বাফুফের চার কর্মকর্তাকে নজরদারিতে রেখেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। আর্থিক অনিয়মের কারণে দ্বিতীয়বারের মতো বাফুফের এই কর্মকর্তাদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ফিফা।

দ্বিতীয় দফায় অর্থ অনিয়মের জন্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, অর্থ প্রধান আবু হোসেন, অপারেসন্স ম্যানেজার মিজানুর রহমান এবং প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফকে কারণ দর্শাতে বলেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। তবে প্রথমবারের মতো ফিফার এই তালিকায় যুক্ত হয়েছে ইমরুল হাসানের নাম।ফিফার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তবে আমার কাছে এখনো সরাসরি কোনো চিঠি আসেনি। প্রথম ধাপের মতো এবারও সাবেক ও বর্তমান চার কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে ফিফা। আগের তিনজনের সঙ্গে প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড স্টোর অফিসার ইমরুল হাসান শরীফ এবার কারণ দর্শানোর আওতায় এসেছে। জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এই চারজন ছাড়াও আরও একাধিক বাফুফের কর্মকর্তার ওপর নজর রেখেছে ফিফা। গতবার অর্থ অনিয়মের জন্য ৫১ পৃষ্ঠার অনুসন্ধান রিপোর্ট প্রদান করেছিল ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করেই নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ।

প্রথম ধাপে যারা নজরদারিতে ছিলেন তাদের সঙ্গে নতুন একাধিক বাফুফে কর্মকর্তাদের ওপর অনুসন্ধান চালাচ্ছে ফিফা। জড়িত কর্মকর্তাদের অব্যাহতি না দিলে ফেডারেশনের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে বলে জানিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠানটি।

ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডের প্রথম দুই ধাপের অর্থের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। সম্প্রতি দুবাইয়ে তৃতীয় ধাপের ওয়ার্কশপে বাফুফের প্রতিনিধি দলকে সতর্ক করেছে ফিফা। এ ছাড়া যারা বাফুফের বেতনভুক্ত কার্যনির্বাহী এবং যাদের বিরুদ্ধে শোকজ রয়েছে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিতে বলেছে ফিফা। ফুটবল ফেডারেশনের অর্থ বিভাগকে পুরোপুরি সংস্কার না করলে ফিফা ফরোয়ার্ড ফান্ডের আর্থিক বরাদ্দ মিলবে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।