বেতাগীতে দীর্ঘ ১২ বছর পর সড়ক পুন:নির্মান

দীর্ঘ বার বছর ধরে সংস্কার বিহীন পড়ে থাকা বেতাগী উপজেলার সদর ইউনিয়নের ঝোপখালী বাজার থেকে ভোলানাথপুর দারুল উলুম ম্দ্রাাসা হয়ে আমড়াগাছিয়া বাজার খাল পাড়ের সড়ক পথ পুন:নির্মানে বহুদিনের দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। স্থানীয়দের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় খুশী তারা।

উপজেলা এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা যায়, বার্ষিক মেরামত বর্মসূচির আওতায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে এলজিইডির অর্থায়নে ১২. ৯০ মিটার (সোয়া কিলো মিটার সড়ক) পুন:নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪০ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। কাজটি পান পটুয়াখলীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জান্নাতুল ফেরদৌস ট্রেডার্স। এর আগে ২০১০ সালে রাস্তাটি নির্মাণ করা হয়।

সড়কটি পুন:নির্মাণের ফলে ওই এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী , শিশু, বৃদ্ধ, গর্ভবতী, নারী ও অসুস্থরোগি সহ সাধারণ মানুষের যাতায়াত সহজতর হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মাওলানা ওবায়দুল হক বলেন, আজ-কাল হচ্ছে, এত দিনে শুধূই আশার বাণী শোনা যেত। বহু প্রত্যাশিত সড়কটি আজ পুন:নির্মানে আমরা খুশী।

সরেজমিনে দেখা যায়, বেতাগী পৌর শহর, সদর ইউনিয়নের ভোলানাথপুর, কিসমত ভোলানাথপুর, ঝোপখালী, দারুল উলুম ম্দ্রাাসা, বিএলবি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোলানাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খন্তাকাটা, লক্ষীপুরা, রানীপুর, শ্রীনগর ও আমড়াগাছিয়া এলাকার শিক্ষার্থী ও শত শত মানুষ বেড়ের ধন খালের পাড় হয়ে চলাচল ও বিভিন্ন বাহনে মালামাল বহন করতেন। বহু দিন ধরে সড়কের এই পথটুকু একেবারে বেহাল দশায় ছিল। সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো: হুমায়ূন কবির জানান, চলতি বছরের জুলাই মাসে এ সড়ক নির্মাণ করা হয়। এর ফলে এসব এলাকা বাসিন্দা ও স্থানীয় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সহ আশপাশের মানুষের দীর্ঘদিনের চরম দুর্ভোগের অবসান হয়েছে। নতুন সড়ক পেয়ে খুশি সবাই।

দক্ষিণ ভোলানাথপুর বাজারের ধান-চাল ব্যবসায়ী মো: উজ্জল সিকদার সহ বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের ধান, সারসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহনে এখন আর বেকায়দায় ও লোকসানের শিকার হতে হবেনা। স্থানীয় কৃষক আব্দুর রহীম জানান, দীর্ঘ বার বছর ধরে বহু কষ্টের পর এখন আর ফসল আনা-নেওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।

ভোলানাথপুর দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব আব্দুস কুদ্দুস মল্লিক বলেন, এ পথ দিয়ে আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্ররা লেখাপড়া করে। এটি পুন:নির্মাণে শুধু আমার প্রতিষ্ঠানই নয় অনেক শিক্ষার্থী ও আশে-পাশের লোকজনের চলাচল সহজতর হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জান্নাতুল ফেরদৌস ট্রেডার্স‘র স্বত্তাধিকারী সেলিম হোসেন জানান, রাস্তার কাজ করতে যেয়ে চলাচলে মানুষের দুর্ভোগ দেখে সকলের সহযোগিতায় দ্রুত কাজটি সম্পন্ন করে কষ্ট লাঘব করতে পারায় সত্যিই আনন্দ অনুভব করছি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী মো. রাইসুল ইসলাম বলেন, সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল দশায় ছিলো। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সদ্য সড়কটি পুন:নির্মাণ করায় বসতিদের ভোগান্তির লাঘব হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।