ফখরুল দেখতে যাওয়ার পরই নুরকে জোর করে রিলিজ দেওয়ার অভিযোগ

ছাত্রলীগের হামলায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দেখতে যাওয়ার পরই নুরকে জোর করে রিলিজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নুরকে দেখতে যান মির্জা ফখরুল। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।

এ সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সমাজ কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম প্রমুখ।

এর আগে, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে গণঅধিকার পরিষদ। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সংগঠনটি।

গণধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গতকালের হামলায় আমাদের অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছেন। সভাপতি নুর হক নুরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। আমাদের দলের সভাপতির ওপর হামলা করায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের ওপর হামলা-মামলা, জনসাধারণ ও শিক্ষার্থীদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এবং হয়রানি, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হাফেজ রেজাউল হত্যা ও বুয়েট শিক্ষার্থীদের আটকের প্রতিবাদে বিকেল ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যে বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ছাত্র অধিকার পরিষদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচির একই সময়ে পাল্টা কর্মসূচি দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

ছাত্র অধিকার পরিষদের শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি আসামাত্রই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় ভিপি নুরের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। নুর ও তার সহযোগীদের মারতে মারতে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে নিয়ে যায়। অধিকার পরিষদের শাহবাগের দিক থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি আসামাত্রই তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এ সময় ভিপি নুরের ওপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে। নুর ও তার সহযোগীদের মারতে মারতে টিএসসি থেকে দোয়েল চত্বরের দিকে নিয়ে যায়।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।