যুক্তরাষ্ট্রের দুই কংগ্রেসম্যান এখন বাংলাদেশে

যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান দলের জর্জিয়ার কংগ্রেসম্যান রিক ম্যাককোরমিক ও হাওয়াইয়ের ডেমোক্র্যাট দলের কংগ্রেসম্যান এড কেইস গতকাল শনিবার চার দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার তাগিদে সবচেয়ে সোচ্চার যুক্তরাষ্ট্র। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার পর নির্বাচন কেন্দ্র করে নতুন ভিসা নীতিও ঘোষণা করেছে বাইডেন প্রশাসন। তবে থেমে নেই ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক। দেশটির সরকারি প্রশাসনের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ সফরে এলেন রাজনৈতিক প্রতিনিধিরাও।

ঢাকা ও ওয়াশিংটনের সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য অর্থায়নে বড় দাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। আর কংগ্রেসম্যান ম্যাককোরমিক ও কেইস মার্কিন সহায়তা অনুমোদন বিষয়ক কমিটির সদস্য। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বড় দুই দলের এ দুই কংগ্রেসম্যান রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশে এলেও দেশটির সরকারের বার্তা নিয়েই তারা আসছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।জানা গেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও বৈঠক করবেন। সফরের দ্বিতীয় দিন আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে। এরপর যাবেন কক্সবাজার। সেখানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন (আরআরআরসি) ও জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সঙ্গেও কথা বলবেন। আগামীকাল সোমবার ঢাকায় ফিরে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে তাদের।সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, নির্বাচন ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র সোচ্চার হলেও দেশটি বাংলাদেশে মানবাধিকার, সুশাসন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, উন্নয়ন সহযোগিতা এবং নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। মার্কিন গুরুত্বের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে শিগগিরই আরও মার্কিন প্রতিনিধির ঢাকায় আসার কথা। ইন্দো প্যাসিফিক কমান্ডের কৌশলগত পরিকল্পনা ও নীতিবিষয়ক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টমাস জেমস আগস্টের মধ্যভাগে প্রতিরক্ষা সংলাপে অংশ নিতে আসবেন। সেপ্টেম্বরের প্রথমভাগে টিকফা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দিতে মার্কিন বাণিজ্য দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চও ঢাকায় আসতে পারেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।