দুদক থেকে বের হয়ে যা বললেন ড. ইউনূস

অর্থ আত্মসাৎ মামলায় নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৪৭ মিনিট থেকে ১১টা পর্যন্ত তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাকে ডেকেছে, আমি এসেছি। আমার বলার কিছু নেই। যেহেতু এটা আইনি বিষয়। আমার আইনজীবী এটার ব্যাখ্যা দেবেন।’এ সময় ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এ মামলাটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও কাল্পনিক। এর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।’

এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদকের তলবের প্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন তিনি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দিয়ে অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে তলব করে দুদক।

এ মামলায় বুধবার দুদকে তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী

তলবের নোটিশে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদসহ ১৩ জন আসামির বিরুদ্ধে ২৫.২২ কোটি টাকা মানিলন্ডারিং মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আপনার বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণ করা একান্ত প্রয়োজন। আগামী ৫ অক্টোবর দুপুর সাড়ে ১২টায় উপর্যুক্ত বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তদন্তকার্যে সহযোগিতা করতে আপনাকে অনুরোধ করা হলো।

চলতি বছরের ৩০ মে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।