ডেঙ্গু: পাঁচ দিনেই ৪৫৫ রোগী হাসপাতালে, মৃত্যু ৪ জনের

এবার বর্ষার আগেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে মশাবাহিত এ রোগের আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

জুনের প্রথম পাঁচ দিনে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪৫৫ রোগী। সপ্তাহের হিসেবে ভর্তি রোগীর এই সংখ্যা এ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পাঁচ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে চারজনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০১ জন। এর আগে রোববার ৯৭ জন, শনিবার ১৪১ জন, শুক্রবার ৪ জন এবং বৃহস্পতিবার ১১২ জন রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

সোমবার ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মৃত ওই ব্যক্তি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এছাড়া রোববার তিনজনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা গত কয়েকদিন দ্রুত বাড়ছে। মে মাসে হাসপাতালে হয়েছিলেন ১০৩৬ জন ডেঙ্গু রোগী।

এবার বর্ষার আগেই বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তির ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় সামনের দিনগুলোতে মশাবাহিত এ রোগের আরও ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ এসেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে।

এ বছর দেশে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৪৭৭ জনে। এদের মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৭৮১ জন এবং ঢাকার বাইরে ৬৯৬ জন ভর্তি হয়েছেন।

এইডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চলতি বছরে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের; তাদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ১৪ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।

মাসের হিসাবে জানুয়ারিতে ৫৬৬ জন, ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন, মার্চে ১১১ জন, এপ্রিলে ১৪৩ জন এবং মে মাসে ১০৩৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

এদের মধ্যে জানুয়ারিতে ছয়জন, ফেব্রুয়ারিতে তিনজন, এপ্রিলে দুজন এবং মে মাসে এখন পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

এইডিস মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্ত হয়ে গত বছর ৬২ হাজার ৩৮২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে রেকর্ড ২৮১ জনের মৃত্যু হয়।

এর আগে ২০১৯ সালে দেশের ৬৪ জেলায় এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ। সরকারি হিসাবে সে বছর মৃত্যু হয়েছিল ১৬৪ জনের।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।