খুলনায় দলীয় ভোটারদের আটকাতে চায় বিএনপি

সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এবার দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ঠেকাতে চাইছে খুলনা মহানগর বিএনপি। কোনো নেতা-কর্মী ভোটকেন্দ্রে গেলে বিএনপি তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিষয়টি নজরদারি করতে দলটি খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে তদারক দল গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলের কাউন্সিলর প্রার্থী ও নেতা-কর্মী-সমর্থকদের তৎপর থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অবস্থানে থেকে বিএনপি এবার সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে। সিটি করপোরেশনে কাউন্সিলর পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হয় না। কিন্তু কাউন্সিলর পদেও দলের নেতা-কর্মীদের প্রার্থী না হওয়ার জন্য কয়েক দফা নির্দেশ দিয়েছিল বিএনপি। এরপরও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হওয়ায় এরই মধ্যে ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারকাজে অংশ নেওয়ায় ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এখন দলটি আরও কঠোর অবস্থানে গিয়ে ভোটকেন্দ্রে গেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।

বিএনপির এই সিদ্ধান্ত ভোটার উপস্থিতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না। সাধারণ মানুষ বিএনপির কাছে জিম্মি না। অনেক সময় তারা বিএনপির সন্ত্রাসকে ভয় পেয়ে ভোটকেন্দ্রে যেতে চায় না। কিন্তু খুলনার নির্বাচনে কেউ সন্ত্রাস করতে পারবে না।

এস এম কামাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক, আওয়ামী লীগ 

খুলনা সিটি করপোরেশনে ভোট আগামীকাল সোমবার। মেয়র পদে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। এরই মাঝে বিএনপির ভোটার ঠেকাতে দলটির পদক্ষেপ ক্ষমতাসীন দলের চ্যালেঞ্জকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে বিএনপির ওই পদক্ষেপকে অগতান্ত্রিক বলছে আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলটির নেতারা মনে করেন, বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে না গেলেও সাধারণ ভোটারদের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।