আরাভ খানের বিরুদ্ধে আরও একজনের সাক্ষ্য

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় আলোচিত দুবাইয়ে পলাতক স্বর্ণ ব্যবসায়ী আরাভ খানসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে রেন্ট-এ-কার দোকানের কর্মচারী মনিন্দ্র মোহন সরকার সাক্ষ্য দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সল বিন আতিকের আদালতে তিনি সাক্ষ্য দেন। তার সাক্ষ্য শেষে আদালত আগামী ২৫ জুলাই পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

জবানবন্দিতে মনিন্দ্র মোহন সরকার বলেন, ঘটনার সময় তিনি গাজীপুরের জয়দেবপুর সদরের শিমুলতলী বাজারে রেন্ট-এ-কার দোকানের কর্মচারীর হিসেবে কাজ করতেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ২/৩ জন লোক গিয়ে গাড়ির পার্টসের কথা বলে। সম্ভবত একটা পার্টস কেনে। ধোলাইখাল থেকে পার্টস নিয়ে তারা বিক্রি করতেন। ২০১৮ সালের ২২ অক্টোবর তাদের দোকানে পুলিশ যায়। পুলিশ তাকে ২/৩ জনের ছবি দেখায়, নারীর ছবি দেখায়। তিনি দেখেন তারাই তার দোকানে এসেছিল।

আরাভ খানের আসামি আইনজীবী রুহুল আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। মামলাটিতে ৩৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন রবিউলের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), ইমরানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১), সারোয়ার হোসেন (২৩) এবং দুই কিশোরী মেহেরুন নেছা স্বর্ণ ওরফে আফরিন ওরফে আন্নাফী (১৬) ও ফারিয়া বিনতে মীম ওরফে মাইশা (১৬)। আসামিদের মধ্যে রবিউল ও সুরাইয়া পলাতক, অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় আন্নাফী ও মাইশা জামিনে আছেন এবং অপর আসামিরা কারাগারে রয়েছেন। আন্নাফী ও মাইশার বিচার শিশু আদালতে চলছে।

মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত।

গত ৯ মে অস্ত্র আইনের মামলায় আরাভ খানকে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।