রাজধানীতে বিএনপির যেসব নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হলেন

বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকার বাইরে থেকে আসা নেতাকর্মী ও মহানগরীর প্রায় কয়েকশ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে বুধবার (২৬ জুলাই) রাতে এসব নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, ‘নয়াপল্টনের মিডওয়ে হোটেল থেকেই ৫০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এর বাইরে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেককে আটক করা হয়েছে।’

ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতরাতে মোট ৪১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি। এদের মধ্যে বিভিন্ন মামলার আসামি ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তি রয়েছেন। এর মধ্যে বিএনপির কতজন নেতাকর্মী রয়েছেন তা জানা যায়নি। এর আগে মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তার ৭৫ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

গতরাতে নয়াপল্টনে হোটেল মিডওয়েতে অভিযান চালায় ডিএমপি। দুই ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে আটক করা হয় বলে সূত্রে জানা যায়। পুলিশের দাবি আটকরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য ওই হোটেলে জড়ো হয়েছিলেন।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, ‘নয়াপল্টনের কাছে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে মিডওয়ে হোটেল ও ভিক্টোরিয়া হোটেলেও অভিযান চালায় পুলিশ। ২৮ জুলাই মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা ৩০০ জনেরও বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে তারা।’

আটক নেতাকর্মীরা হলেন- ফেনী জেলার বিএনপির সদস্যসচিব আলাল উদ্দিন, যুগ্মআহ্বায়ক এয়াকুব নবী, জেলা যুবদলের সহসভাপতি শাহাদাত হোসেন (সেলিম), জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক দাউদুল ইসলাম (মিনার), জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন (রিয়াদ), জাতীয়তাবাদী হেল্প সেলের প্রধান সমন্বয়ক সুমন আহসান, ফেনী সদর উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্মআহ্বায়ক মেজবাহ উদ্দিন মিয়াজী, সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুর নবী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বালিগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কাজী কামরুল হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী, ফেনী পৌর ১৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, বালিগাঁও ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, সদর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী শাকিল, তুহিন, সোহাগ, সাইফুর রহমান, রুবেল পাটোয়ারী ও সোনাগাজী ৭ নম্বর ইউনিয়নের সমির খান ও জাহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

গ্রেপ্তার আরও নেতাকর্মী হলেন- রাজবাড়ী থেকে আসা মুজাহিদুল ইসলাম, জিহাদুল ইসলাম, কাউসার প্রামাণিক, নবী উল্লাহ, মুকুল মিয়া, আবদুল রব, বদিউর রহমান, সামিউল আলম, রেজাউল ইসলাম, বক্কার প্রামাণিক, তারিক প্রামাণিক, লিটন প্রামাণিক, আনিসুর রহমান, নজরুল ইসলাম, সজীব রাজা, ইমরান হোসেন, জাহিদ হোসেন, মো. কনক, ফজল হোসেন। মানিকগঞ্জের ঘিউর উপজেলার রবিউল দেওয়ান. আকাশ, মো. অমি, রাসেল মোল্লা ও মো. শাহরুখ।

এ ছাড়াও লালমাটিয়ার ডি ব্লকের বাসা থেকে আবদুল কুদ্দুস আকন নামের বিএনপির এক নেতাকে, ঢাকা সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাবেক সহ সভাপতি মীর আশরাফ আলী আজম এবং তার ছেলে ব্যারিস্টার মীর মুনতাহা আলীকে লালবাগের বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।