মানি কন্ট্রোলের নিবন্ধজামায়াত ও চীন হবে আগামী নির্বাচনের ট্রাম্পকার্ড?

সফরে আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করাই তার এ সফরের প্রাথমিক লক্ষ্য।

শেখ হাসিনা আশা করছেন, বাংলাদেশকে ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেবে ভারত। এটি নভেম্বরে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়ার শর্ত পূরণে ঢাকাকে সহায়তা করবে। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এ ঋণ আওয়ামী লীগ সরকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার। এই অর্থে বাংলাদেশ মাত্র চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটাতে পারবে। ক্ষমতাসীন দলের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা ছাড় দেওয়ার পরেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

বিএনপির নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া জেল খাটছেন এবং তার ছেলে তারেক রহমান প্রবাসে থাকায় বিএনপি দুর্বল। ফলে বিরোধী দলের জন্য জামায়াতের সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাদের পথ আটকে দিলে বাংলাদেশে ভারতের ভাবমূর্তি আরও ক্ষুণ্ন হবে। জামায়াতকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করলে তারা অন্য ছোট ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠন করতে পারে। এটি তাদের পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আনতে পারে, যা প্রতিবেশী এবং সহযোগী দেশটির সাথে ভারতের স্বার্থ কল্পনাতীতভাবে নষ্ট করতে পারে। সুতরাং তাকে হারানোর চেয়ে শত্রুর মুখোমুখি হওয়া কি উত্তম নয়?

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।