ইভিএমে কোথাও কোথাও ধীর গতি, তাৎক্ষণিক সমাধান: ইসি

খুলনা ও বরিশাল মহানগরীতে ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবীব খান জানিয়েছেন, কিছু এলাকায় ইভিএমে ধীর গতির কারণে ভোট গ্রহণে দেরি হচ্ছে। তবে ওই মেশিনগুলো সরিয়ে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করা হচ্ছে।

সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নির্বাচন ভবনে সিসিটিভিতে ভোট পর্যবেক্ষণ করে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

এদিকে আরেক নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ভোট ভালো হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে স্বস্তি লক্ষ্য করা গেছে। মাঠে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

মহানগর দুটিতে ভোটে কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে এখনও এরকম কোনো তথ্য নেই। জানলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো। তবে হাতপাখার প্রার্থীকে হামলার অভিযোগের কথা আমরা শুনেছি, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

এদিকে খুলনা ১৮৭ নম্বর কেন্দ্রে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না এমন অভিযোগে তাৎক্ষণিক প্রিজাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে নেন নির্বাচন কমাশনার।

বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। সোমবার সকাল আটটায় শুরু হয়ে, বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে ভোট নেয়া। এবার সবকটি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেয়া হচ্ছে।

বরিশাল সিটির নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস, ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। এছাড়াও আর চারজন প্রার্থী মেয়র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এই সিটিতে মোট ভোটার ২ লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ আর নারী ভোটার ১ লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন। প্রতিটি বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। বরিশালের ১২৬ কেন্দ্রের মধ্যে ১১৬টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ, বলছে নির্বাচন কমিশন। 

বরিশাল সিটির রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির পরিবেশ শতভাগ সুষ্ঠু আছে দাবি করে ভোটারদের র্নিভয়ে কেন্দ্রে যাবার অনুরোধ জানিয়েছেন।

ভোটের নিরাপত্তায় সাড়ে চার হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি দশ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে, খুলনায় এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচ জন। খুলনায় ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৬১টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন।

আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন তালুকদার আব্দুল খালেক। আর জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে আছেন শফিকুল ইসলাম।এছাড়াও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল, যার প্রতীক হাতপাখা। 

জাকের পার্টির গোলাপফুল প্রতীকে এসএম সাব্বির হোসেন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী দেয়ালঘড়ি প্রতীকের এসএম শফিকুর রহমান মুশফিক মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

খুলনায় ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।

নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ করতে ৩১ টি ওয়ার্ডের ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ১০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি মোতায়েন থাকবে ১১ প্লাটুন বিজিবি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।