দুই নারীর সঙ্গে আ.লীগ নেতার অশ্লীল ভিডিও ফাঁস

পিরোজপুরে দুই নারীর সঙ্গে এক আওয়ামী লীগ নেতার অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত আশুতোষ বেপারী নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।

ওই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। ভিডিওতে দুই নারীর সঙ্গে তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডের দৃশ্য দেখা গেছে। যদিও তিনি এ ঘটনা অস্বীকার করেছেন।

এদিকে আশুতোষ বেপারীর ওই অশ্লীল ভিডিও ফাঁসের ঘটনা পিরোজপুর ও নাজিরপুরে টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে। সরাসরি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড না হলেও মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ বিভিন্ন মাধ্যেমে ছড়িয়ে পড়ছে একাধিক ভিডিও।

ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারীর পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলেও নারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ভিডিওতে আশুতোষ বেপারীর সঙ্গে দুই নারীকে দেখা যায়। এ ছাড়া সেখানে আরও একাধিক ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন। সবার সামনেই ওই নারীদের সঙ্গে অশ্লীল কর্মকাণ্ড চালিয়ে যান আশুতোষ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও একজন ইউপি চেয়ারম্যানের এমন কর্মকাণ্ডে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রত। বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তৃণমূলের কর্মীরা।

এসব ভিডিওর ব্যাপার কিছুই জানেন না দাবি করে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ ব্যাপারী কালবেলাকে বলেন, এমন কোনো ভিডিও কিংবা ছবির ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। রাজনীতি করতে গেলে অনেক ষড়যন্ত্রের শিকার হতে হয়। আমিও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।

পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি জানি না। তবে দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে বিষয়টি অবশ্যই খোঁজ নিয়ে দেখবো। কেউ যদি এমন কিছু করে যার জন্য দলের সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়, তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দল কারও কাছে বন্ধক রাখা হয়নি, তাই দল কারও অপকর্মের দায়ও নেবে না।

২০২২ সালে ১৯ নভেম্বর নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের মাধ্যেমে উপজেলার নতুন কমিটি করা হয়। ওই কমিটিতে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খানকে সভাপতি এবং দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারীকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

এর আগে ২০১৪ সালে কাউন্সিলের মাধ্যমে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাতে আশুতোষ বেপারীকে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ দেওয়া হয়। দীর্ঘা ইউনিয়নে পরপর দুবার নৌকা মার্কা নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।