রাঙামাটিতে দুর্বৃত্তরা ফের পুড়িয়ে দিলো অটোরিকশা

রাঙামাটিতে ছয় দিনের ব্যবধানে আবারও সিএনজিচালিত অটোরিকশা পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি-ঘাগড়া সড়কের কুকিমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ১০ জুন রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়ি এলাকায় চাঁদা না পেয়ে দুর্বৃত্তরা সিএনজিচালিত আরেকটি অটোরিকশা পুড়িয়ে দেয়।পুলিশ ও বড়ইছড়ি সিএনজি মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, বৃস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনার লিচুবাগান এলাকা থেকে যাত্রী বেশে দু’জন দুর্বৃত্ত (চট্টগ্রাম থ-৭৪৯৯) বড়ইছড়ি বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করে। বড়ইছড়ি বাজারের দিকে যাওয়ার পর তারা সিএনজি চালক রকিকে অস্ত্র ঠেকিয়ে ঘাগড়া সড়কের দিকে যেতে বলে। চালক ভয়ে ওই পথে যাওয়ার সময় কুকিমারার আপাই মারমার আম বাগান এলাকায় পৌছলে চালককে গাড়ি থামাতে বলে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই স্থানে তাদের সহযোগী আরও তিনজন অপেক্ষা করছিল। তারা চালককে নামিয়ে দিয়ে অটোরিকশাটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে গাড়িটি পুরোপুরি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সিএনজি মালিক সমিতির নেতারা ঘটনাস্থলে যান।অটোরিকশা চালক রকি জানান, যাত্রী বেশে দুজন দুর্বৃত্ত কুকিমারা এলাকায় অটোরিকশাটি নিয়ে যায়। সেখানে তার সঙ্গে থাকা মোবাইল, টাকা কেড়ে নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে একটি পাহাড়ে নিয়ে যায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা পাহাড় থেকে নিচে নেমে অটোরিকশাটি কিছু দূর চালিয়ে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পরে তিনি রশি খুলে পাহাড় থেকে নেমে সড়কে গিয়ে অপর একটি গাড়িতে উঠেন এবং ওই চালককে ঘটনাটি জানান।

বড়ইছড়ি সিএনজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম জানান, তিনি রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাটি জেনেছেন। এরপর সমিতির লোকজনকে নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন অটোরিকশা সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। কে বা কারা পুড়িয়ে দিয়েছে তা এখন বলতে পারছি না।

কাপ্তাই থানার ওসি জসিম উদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে এ ঘটনার খবর পেয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অটোরিকশার আগুন নেভায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্থানীয় অস্ত্রধারী একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটাতে পারে। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্ষন্ত কেউই অভিযোগ করতে আসেননি। অভিযোগ দিলে মামলা নেওয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।