জামায়াত নিয়ে পুলিশের নতুন নির্দেশনা

সর্বশেষ দুটি জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন করতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তবে তাতে ঘোরতর আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দীর্ঘ দিন ধরেই কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা।

এতদিন এসব কর্মসূচিতে বাধা দিতে দেখা গেলেও সম্প্রতি বিএনপি-জামায়াত জোটের প্রতি নমনীয়তা দেখাচ্ছে সরকার। এরইমধ্যে হঠাৎ করেই জামায়াতে ইসলামী বেশ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দলটির এই সক্রিয় হয়ে ওঠা নিয়ে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে নতুন নির্দেশনাও।

পুলিশের অনুমতি নিয়ে গত ১০ জুন রাজধানীতে সমাবেশ করেছে জামায়াত। প্রায় এক দশক পর দলটির সমাবেশ করার অনুমতি পাওয়া নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হয়। জামায়াতের সঙ্গে সরকারের আঁতাত হয়েছে বলেও সন্দেহ প্রকাশ করেন কেউ কেউ। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সম্প্রতি এমন সন্দেহ প্রকাশ করে বক্তব্য দেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করেন সরকারি দলের নেতারাও।

ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানায়, জামায়াতের আগের আন্দোলনগুলোতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া নেতাকর্মীদের একটি তালিকা করছে পুলিশ। যদি তারা নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করেন, তবে সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। না হলে তারা তাদের মতো রাজনীতি করতে পারবেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘জামায়াতের প্রতি কেমন আচরণ করা হবে, এটি অনেকটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। আমাদের কাছে নির্দেশনা আসার পর পুলিশের অন্য সব ইউনিটকে বলা হয়েছে তাদের গণহারে গ্রেপ্তার না করে নমনীয় আচরণ করতে। তবে সভা-সমাবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।’

অন্যদিকে জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এখনও গণহারে ধরপাকড় করছে পুলিশ। তাদের আচরণের পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা আগামী দিনে কর্মসূচি পালন করতে গেলে পরিষ্কার হবে।

জামায়াতে ইসলামীর অভিযোগ, ইতোমধ্যে তাদের অনেক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। গত ১২ বছরে নিহত হয়েছেন ২৯৪ জন কর্মী।

তবে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করে পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র ও সহকারী মহাপরিদর্শক মো. মনজুর রহমান বলেন, অনুমতি নিয়ে শান্তিপূর্ণ কোনো কর্মসূচি করলে পুলিশ কখনো বাধা দেয় না বরং সহযোগিতা করে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।