বিএনপির তৈরি আমলাদের তালিকায় কারা আছে?

নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি মাঠের কর্মসূচির বাইরেও সরকারকে চাপে রাখতে নানা কর্মকাণ্ডে জোর দিচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি ঘোষণার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করছে দলটি।

এরই মধ্যে পুলিশের অতি উৎসাহী ৪ হাজারেরও বেশি কর্মকর্তার একটি তালিকা প্রায় চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। পুলিশ ছাড়াও অন্য বাহিনীর কিছু সদস্যের নামও রয়েছে ওই তালিকায়।

এবার বিএনপি তালিকা করছে আমলাদের। এই তালিকা তৈরির দায়িত্বে আছেন দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সাবেক আমলারা।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি সামনে এনে নির্বাচনকালে এসব কর্মকর্তাকে চাপে রাখাই বিএনপির মূল উদ্দেশ্য। নির্বাচনে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যাতে একতরফাভাবে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভূমিকা পালন না করেন, সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজ করছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

সূত্র বলছে, আওয়ামী লীগপন্থি প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সব কর্মকর্তার তালিকা করা হচ্ছে। তবে যেসব কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন, তাদের বিষয়ে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, ওই সব কর্মকর্তা সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারেন।

তবে এ ধরনের তালিকা করার কথা অস্বীকার করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস কালবেলাকে বলেন, বিএনপি পুলিশ কিংবা সিভিল প্রশাসনের কোনো তালিকা করছে না। বিএনপি কী জন্য, কীসের তালিকা করবে? বিএনপির এমন কোনো তালিকা করার প্রয়োজন নেই। মার্কিনিরা তাদের রাষ্ট্রীয় পলিসি অনুযায়ী এটা করেছে। এখানে আমাদের আনন্দিত হওয়ার কিংবা দুঃখ পাওয়ার কিছু দেখি না।

এদিকে বিএনপির এ ধরনের তৎপরতা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহিদ খান কালবেলাকে বলেন, সরকারে এখন যারা আছেন এবং আগে যারা ছিলেন, জানা-অজানা কারণে তারা এ ধরনের তালিকা করে আসছেন-যা মূলত রাজনৈতিক বিবেচনাপ্রসূত। এটি নিয়ে অনেক ক্ষোভ রয়েছে গণকর্মচারীদের। প্রশাসন দলীয়করণের লক্ষ্যে এসব করা হয়। ভিসানীতির কারণে তালিকা প্রণয়ন নতুন ধারার সূচনা।

এর আগে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত, এমন যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারের সমর্থক এবং বিরোধীদলীয় সদস্যরাও এই ভিসানীতির আওতায়। এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও ভিসানীতির অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।