দক্ষিণাঞ্চলের নয়টি নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) রাতে বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তাজুল ইসলাম জানান, পূর্ণিমা ও উজানের পানির চাপের কারণে বেশকিছু নদীর পানি বেড়েছে। তবে, দক্ষিণাঞ্চলে এখন পর্যন্ত বন্যার আশঙ্কা নেই। নদ-নদীগুলোতে যে পরিমাণ পানি বেড়েছে, তা এ মৌসুমের স্বাভাবিক পরিস্থিতি। এই অঞ্চলের নদীগুলোর গভীরতা ও প্রস্থ বেশি হওয়ায় এগুলোর পানি ধারণের ক্ষমতা বেশি।
এদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া ওয়াটার লেভেলের তথ্য অনুযায়ী, সন্ধ্যা ৭টায় বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলায় ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া, ভোলার দৌলতখানে সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, তজুমদ্দিন উপজেলায় সুরমা-মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৮২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং ভোলা খেয়া ঘাটের তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরগুনায় বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পাথরঘাটায় বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং বেতাগীতে বিশখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। উমেদপুরে কচা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৩ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
বরিশালে কীর্তনখোলা, উজিরপুরে স্বরূপকাঠি, গৌরনদীতে টরকি, ঝালকাঠিতে বিশখালী, কাইটপাড়ায় লোহালিয়া, মির্জাগঞ্জে পায়রা, আমতলীতে বুড়িশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষা মৌসুমে বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ মোট ১৯টি নদীর পানি প্রবাহ পর্যবেক্ষণ করা হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বেশ কয়েকটি নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেলেও ভাটায় আবার পানি নেমে যাবে।