মাদারীপুরে ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃ’ত্যুর অভি’যোগ

মাদারীপুরে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় এক ব্যক্তির মৃত্যুর অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে জেলা সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মান্নান মোল্লা (৬৫)। তিনি সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারপুর এলাকার মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে।

https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?gdpr=0&us_privacy=1—&client=ca-pub-2597544000561495&output=html&h=280&slotname=9047629088&adk=2892880295&adf=4229567430&pi=t.ma~as.9047629088&w=336&lmt=1689077452&format=336×280&url=https%3A%2F%2Fwww.somoyerkonthosor.com%2Fpost%2F2023%2F07%2F11%2F64ad41ffa0679%3Ffbclid%3DIwAR2VTESFBTM87l7GRPr0wdDN6nQ7QKDfzWykmxkzVj5ZNTsmkJQ-OflOlCg&wgl=1&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMC4xLjAiLCJ4ODYiLCIiLCIxMDkuMC41NDE0LjEyMCIsW10sMCxudWxsLCI2NCIsW1siTm90X0EgQnJhbmQiLCI5OS4wLjAuMCJdLFsiR29vZ2xlIENocm9tZSIsIjEwOS4wLjU0MTQuMTIwIl0sWyJDaHJvbWl1bSIsIjEwOS4wLjU0MTQuMTIwIl1dLDBd&dt=1689077455686&bpp=1&bdt=734&idt=750&shv=r20230706&mjsv=m202306290101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3Dcb3ea13839251e67-225d43812de10001%3AT%3D1685773564%3ART%3D1689077455%3AS%3DALNI_MbnBFTjgllYEeEYSh09s8M8gXoD_A&prev_fmts=0x0%2C336x280%2C250x250%2C336x280&nras=1&correlator=6734828284369&frm=20&pv=1&ga_vid=2124033135.1689076289&ga_sid=1689077456&ga_hid=1932385186&ga_fc=1&u_tz=360&u_his=1&u_h=1080&u_w=1920&u_ah=1040&u_aw=1920&u_cd=24&u_sd=1&dmc=4&adx=637&ady=1383&biw=1909&bih=937&scr_x=0&scr_y=0&eid=44759842%2C44759875%2C44759926%2C42532278%2C42532280%2C31075757%2C44788442%2C44796827%2C44796200&oid=2&pvsid=2352098150021936&tmod=1681200257&uas=0&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fl.facebook.com%2F&fc=1920&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1920%2C0%2C0%2C0%2C1920%2C937&vis=1&rsz=%7C%7CpEebr%7C&abl=CS&pfx=0&fu=0&bc=31&ifi=4&uci=a!4&btvi=1&fsb=1&xpc=8MkJdRutfG&p=https%3A//www.somoyerkonthosor.com&dtd=3326

পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, গতকাল সোমবার রাতে প্রচণ্ড পেটে ব্যথা নিয়ে মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন পশ্চিম পেয়ারপুর এলাকার মান্নান মোল্লা। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা শিহাব চৌধুরী ওই রোগীর চিকিৎসা দেন। দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই রোগীর ব্যথা কমানোর জন্য তার শরীরে ঘুমের ইনজেকশন পুশ করেন সদর হাসপাতালের সেবিকা কেয়া আক্তার।

ইনজেকশন পুশ করার কিছুক্ষণ পরেই রোগীর খারাপ লাগা শুরু করলে ঘুমিয়ে পড়েন তিনি এবং সেই অবস্থায় ওই রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ উঠে।

মান্নান মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আলী মোল্লা বলেন, আবার আব্বার পেটে ব্যথা ছিলো। ডাক্তার তাকে দেখে স্যালাইন দিয়েছিলো। ব্যথা না কমায় নার্সকে ডেকে আনলে নার্স একটা ইনজেকশন পুশ করে। এরপরেই আব্বার বুকের মধ্যে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। পরে দেখি আব্বায় আর কথা কয়না। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমার আব্বায় মারা গেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

বাবাকে হারিয়ে হাসপাতালের মেঝেতে বসে কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন মান্নান মোল্লার দুই মেয়ে লিমা বেগম ও রহিমা বেগম। আহাজারি করছিল তারা।

ছোট মেয়ে লিমা বেগম বলেন, আমার আব্বার ঠিকঠাক চিকিৎসা দেয় নাই ডাক্তার। আব্বার বেশি ব্যথা উঠলে একটা ইনজেকশন দিয়া গেছে ডাক্তার। এর পরেই আমার আব্বায় মারা যায়। আমার আব্বারে ওরা মাইরা ফালাইছে। আমরা এর বিচার চাই।

আরেক মেয়ে রহিমা বেগম বলেন, সামান্য পেটের ব্যথায় কি কেউ মরে? সুই দেয়ার পরেই আমার আব্বায় মারা গেছে। যে সুই দিছে হের কারনেই আমার বাপের মৃত্যু হইছে। আমরা ৪ ভাই বইন এতিম হইয়া গেলাম।

হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা শিহাব চৌধুরী বলেন, ওই রোগী এর আগে আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলো। সেখানে উন্নতি না হওয়ায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছিলো। তার ব্যথা কমানোর জন্য ইনজেকশন দেয়া হয়েছিলো। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হৃদ যন্ত্রের ক্রীড়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়।

ভুল চিকিৎসার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তিনি বলেন, তাকে শুধুমাত্র এন্টোবায়োটিক, পেইন কিলার ও গ্যাসের ইনজেকশন দেয়া হয়েছিলো, এর বাহিরে কিছুই নয়। সেক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয়।

মাদারীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। তদন্তে ডাক্তারের গাফলতির সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা এব্যাপার জানতে পেরেছি। ভুক্তভোগী পরিবারের লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।